চাকুরী জিবী স্ত্রী স্বামীর জন্যে জাহান্নামআপনার স্ত্রী-যদি চকুরি করে অথবা চাকুরী করা মেয়ে আপনি বিয়ে করেন। তাহলে অপনার দুনিয়া ও আখিরাত দুইটাই হারাতে হবে, আপনার ঠিকানা জাহান্নাম হবে । কারন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভবিষৎ বানীর উপরে আপনি সতর্ক হননি । কোরানের নির্দেশনা আপনি মানেন-নি । সূরা নিসা # আয়াত-34 পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ আর হে নবী! মু’মিন মহিলাদের বলে দাও তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানগুলোর হেফাজত করে আর তাদের সাজসজ্জা না দেখায়, যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় তা ছাড়া। সূরা নুর- আয়াত-30-31 রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভবিষৎ বানী 1) নারী পরুষের উপরে কর্তৃত্ব দেখাবে । 2) মহিলা নেতা হবে । ======আপনার স্ত্রী চাকুরী করলে আপনার “আখিরাত” কি ভাবে হারাবে...? ।======= 1) প্রথমত আপনি আল্লাহর আয়াতের বিরুদ্ধাচারন কারী, এবং আপনার দ্বায়িত্ব আপনার পরিবার ও আপনার বৌয়ের খরচ বহন করা । খরচ বহন বলতে এটা নয় যে, বৌয়ের জন্য 3000 টাকার শাড়ি কেনা । 2) আপনি রাসূলের ভবিষৎ বানীতে সতর্ক হননী । 3) আপনার বৌ পর্দা-না করে অফিসে যাওয়ার কারনে শত শত মানুষ তার সাথে চোখের জেনা করছে, সহ কর্মিদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে । পৃথীবিতে প্রায় 90% চাকুরীজিবি মহিলা পর্দা করে না বা পর্দা করলে ওই চাকুরি করা যায় না । (পর্দা মানে ঃ টাইট বোরকা পারা নয়, মাথায় হিজাব পরা নয়, বিভিন্ন ডিজাইনের কাটা ফাটা বোরকা পরা নয় ।) 4) স্বামীর হক আদায় করছে না । 5) আপনার স্ত্রী সাজ সজ্জা করে অফিসে যাচ্ছে, এবং সন্দর্য প্রদর্শন করছে । (যা সরাসরি আল্লাহর আয়াতের বিরুদ্ধাচান) 6) মহিলাদের চাকুরি করা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অদর্শ নয় । 7) আপনার বৌয়ের সন্দর্য উপভোগ করে কোন যুবক জেনায় লিপ্ত হতে হবে । আপনার বৌয়ের চাকুরি করার কারনে পাশের বাড়ির মেয়েটাও চাকুরি করার অনুপ্রেরনা পাবে । হারাম কাজ করা ও অনুমতি দেয়া, নিজের সামনে সাভাবিক ভাবে করতে দেয়ার কারনে আপনি ও আপনার স্ত্রী উভই জাহান্নামী হবে । এবং আপনি আখিরাত হারাবেন । যারা উপরের ও নিচের বিষয়গুলোর যথার্ততা যাচা্ই করে চাকুরি করতে চায় তারা চাকুরি করতে পারবে । তবে বর্তমান এই বিষয়টা সহজ নয় । ======আপনার স্ত্রী চাকুরী করলে আপনার দুনিয়া কি ভাবে হারাবে..? ।======= 1) আপনি হয়ত ভাবছেন স্ত্রী চাকরী করলে টাকা বেশী ইনকাম হবে, শান্তিতে থাকতে পারবেন । কিন্তু ঘটে তার উল্টা তার ইনকামের টাকা সে তার ইচ্চা মত খরচ করবে । আর আপনার ইনকাম দিয়ে সংসার ও তার খরচ চলবে । 2) অফিসের কাজের প্রয়োজনে তাকে রাতে বাড়ি ফিরতে হতে পারে । যা কোরান ও হাদিস ও সামাজিক ভাবে খুবই বিপদজনক । 3) সারাদিন অফিস থাকায় সে বাড়ির সাভাবিক কাজ করতে সময় পাবে না । আপনাকেই আপনার কাপড় ধুতে হবে । শুধু তাই নয় আপনার বৌয়ের কাপড় ধুতে হবে । সেটা কোন ব্যাপান না কিন্তু বৌ আপনার যে সাহয্যকারী হবার কথা ছিল ঠিক উল্টই হবে । 4) আপনাকে আপনার মা/বাবা থেকে আলাদা করে নিজের মত অন্য খানে থাকার বন্দ বস্ত করবে । কারন সে কোন ঝামেলা নিতে পছন্দ করবে না । 5) তার প্লান আপনাকে সব থেকে বেশী প্রধান্য দিতে হবে । 6) সারাদিন অফিস থাকায় রান্না ও খাওয়া আপনার ও আপনার পরিবারের সাভাবিক কর্যক্রম ব্যহত হবে, । 7) অফিস শেষে দুই জনই ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে একে অন্যের উপর খবরদারী করতে হবে । দুই জনই ব্যস্ত থাকায় নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা কমে যাবে । 9) দুজনের অফিসের চিন্তায়/ক্লান্ত থাকায় আপনাদের শারিরিক মিলনে প্রভাব ফেলবে, যা পরবর্তীতে ভয়ংকর রুপনিবে । 10) আপনাকে আপনার, আপনার বৌয়ের, আপনার অফিসের, আপনার বৌয়র অফিসের চিন্তা করতে হবে । 11) সন্তান জন্ম নিলে ছোট থেকেই অন্যে কাছে রেখে অফিসে যেতে হবে । যা আপনার সন্তানের বিপথে নেবার সম্ভাবনা অনেক বেশী । 12) পরিবার-টা আপনার হলেও আপনার কোন দাম থাকবে না । আপনাকে শুধু আপনার পরিবারের সিকিউরিটি গার্ডের দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে । 13) আপনার মেয়েও আপনার বৌয়ের পথ অনুসরন করবে । 14) কেউ কাউকে যথা যত সময় দিতে পারবেন না । 15) পৃথীবিতে যত বড় পন্ডিত-ই আপনি হন না কেন বৌ চাকরি করলে আপনাকে আপনার বৌয়ের গোলামী করতেই হবে । (অবিরাম গ্যারান্টি) 16) আপনার বৌ অন্য কারের সাথে সম্পর্কে জরিয়ে পরতে পারে । 17) আপনার বৌ যেহেতু ইনকাম করে সে কারনে সে আপনাকে সে প্রাধান্য দিবে না । 18) সিদ্ধান্ত যাই হোক আপনাকে আপনার বৌয়ের সিন্ধান্ত অনুযায়ী চলা ফেরা করতে হবে । 19) দুজনই সম ক্ষমতা লাভ করায় কেউ কাউকে তোয়াক্তা করে চলতে চাইবে না । বিশেষ করে আপনার -বৌ । 20) আমি তোমার রান্না/কাপড় ধোয়ার জন্য পড়ালেখা করিনাই এই কথা আপনাকে সারা জিবন শুনতে হবে । কিন্তু আপনি কোন দিন ও বলতে পারবেন না যে, আপনি পড়ালেখা করেছেন কেন । 21) শান্তির পিছনে আপনি 320 কিঃ মিঃ গতিতে ছুটলেও শান্তিকে আপনি কখনই ধরতে পারবেন না । 22) সমাজে আপনাকে ভদ্রতা এবং সামাজিকতার মুখোস পরে থাকতে হবে । 23) আপনার স্ত্রী ও অপনি দুজনই অ্ন্যের প্রতি আকৃষ্ট হবার সম্ভাবনা বেশী । যা এক সাথে থাকা আর চাকুরি করে আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হবার একেবারে বীপরীত ।
24) অধিক সন্তানের পিতা হতে পারবেন না তাই বৃদ্ধ বয়সে আপনাকে সহযোগিতার হাত থাকবে না । 23) উপরের সমস্ত বিষয় একবারে বাস্তব গল্প থেকে নেয়া যা আমি সমাজের চারি পাশে দেখেছি । উপরের কথাগুলো কোন চাকুরিরত মহিলা দেখলে সে তার পাল্টা মাতামত দিতে পারে কিন্তু উপরের কথা গুলো কিন্তু সত্যই থাকবে । ======সব থেকে বড় কথা হলো আপনি ও আপনার স্ত্রী জাহান্নামী হবেন ।=====
1 Comment
রাসূল (সা.) বলেছেন, আজওয়া খেজুর খাও- হৃদরোগ ভালো হবেমানুষের সুস্থতা আল্লাহপাকের অনেক বড় নিয়ামত। মানুষের জীবনে চলার পথে সুস্বাস্থ্য খুব প্রয়োজন। কেননা একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পক্ষে কোনো ইবাদতই করা সম্ভব হবে না। হাদিসে এসেছে, আল্লাহর কাছে তোমরা সুস্বাস্থ্য প্রার্থণা কর, কারণ ইমানের পর সুস্বাস্থ্যের চেয়ে অধিক মঙ্গলজনক কোনো কিছু কাউকে দান করা হয়নি (ইবনে মাজাহ) সুতরাং মানুষের উচিত সব সময় সুস্থ থাকার চেষ্টা করা। রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লে চিকিৎসা গ্রহণ করা। আর এই চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমাদের নবীও (সা.) বেশ কিছু চিকিৎসার উপাদান বলে দিয়েছেন। হজরত সাআদ (রা.) অসুস্থ হয়ে পড়লে নবী (সা.) তাকে দেখতে যান এবং তাকে হৃদরোগের চিকিৎসা বাতলে দেন। আবু দাউদ শরীফে একটি হাদিস এসেছে, হজরত সাআদ (রা.) বলেন, আমি অসুস্থ ছিলাম এবং নবী আমাকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি আমার বুকের উপর হাত রাখলেন তখন আমার হৃদয়ে একটা শীতলতা অনুভব করলাম। তিনি বলেন, তোমার হৃদরোগ হয়েছে। এর পরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে আজওয়া খেঁজুর খেতে দিয়ে বললেন, তুমি সাতদিন আজওয়া খেজুর খাবে তাহলে তুমি পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে। শায়খ আল-আলবানী তার এই হাদিসকে দুর্বল বলেছেন। অবশ্য অন্য অনেক মুহাদ্দিস এই হাদিসকে সহীহ হাদিসই বলেছেন। তবে একটি বিষয় হচ্ছে হাদিসে হৃদরোগের বিষয়ে যে হাদিসটি বর্ণনা করা হয়েছে সেটা কি সকলের জন্য উপযোগী হবে কিন? কেননা কোনো হাদিস মূল চিকিৎসার জন্য নয়। হাদিস হচ্ছে ইসলামী বিধানের জন্য কিন্তু কোনো হাদিসে চিকিৎসার কথা বলা হলে সেটা ভালো চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নিয়ে তবেই আমল করতে হবে। শরীরকে সুস্থ, সবল ও সতেজ রাখার জন্য শরীর চর্চামূলক খেলাধুলা, ব্যায়াম ও সাঁতার কাটা ইত্যাদির প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম ও বিশ্রাম সুস্বাস্থ্যের জন্য অতীব জরুরি। ইসলামে অলসতাকে অত্যন্ত ঘৃণা করা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি উৎকণ্ঠা, মনোকষ্ট, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, ঋণগ্রস্ততা এবং মানুষের কর্তৃত্বাধীন হয়ে যাওয়া থেকে। (বুখারি) শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানুষের মানসিক সুস্থতার কথাও মনে রাখতে হবে। কারণ মানসিক প্রশান্তি ও উৎফল্লতা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মানসিক উৎকণ্ঠা ও অস্থিরতা দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে ফেলে। আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, জেনে রাখ! আল্লাহ তায়ালার জিকির দ্বারা অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়। (সূরা রাদ : আয়াত ২৮)
হজরত সুলাইমানের (আ.) সাথে পিঁপড়ারা কথা বলতো কীভাবে?হজরত দাঊদ (আ.) মৃত্যুর পর সুযোগ্য পুত্র সুলায়মান তার স্থলাভিষিক্ত হন। শেষনবী মুহাম্মাদ (সা.) এর আবির্ভাবের নূন্যাধিক দেড় হাজার বছর পূর্বে তিনি নবী হন। সুলায়মান ছিলেন পিতার ১৯ জন পুত্রের অন্যতম। আল্লাহ পাক তাকে জ্ঞানে, প্রজ্ঞায় ও নবুওয়াতের সম্পদে সমৃদ্ধ করেন। এছাড়াও তাকে এমন কিছু নেয়ামত দান করেন, যা অন্য কোনো নবীকে দান করেননি। ইমাম বাগাভী ইতিহাসবিদগণের বরাতে বলেন, সুলায়মানের (আ.) মোট বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তের বছর বয়সে রাজকার্য হাতে নেন এবং শাসনের চতুর্থ বছরে বায়তুল মুক্বাদ্দাসের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তিনি ৪০ বছর কাল রাজত্ব করেন। তার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো তিনি পিঁপড়ার সাথে কথা বলেছিলেন। এই বিষয়ে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক বলেছেন, সুলাইমানের জন্য জ্বীন, মানুষ ও পাখিদের সৈন্য সমবেত করা হয়েছিল এবং তাদেরকে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হতো। (একবার সে তাদের সাথে চলছিল) এমন কি যখন তারা সবাই পিঁপড়ের উপত্যকায় পৌঁছালে তখন একটি পিঁপড়ে বলল, হে পিঁপেড়েরা! তোমাদের গর্তে ঢুকে পড়ো। যেন এমন না হয় যে, সুলাইমান ও তার সৈন্যরা তোমাদের পিশে ফেলবে এবং তারা টেরও পাবে না। সুলাইমান তার কথায় মৃদু হাসল এবং বলল, হে আমার রব! আমাকে নিয়ন্ত্রণে রাখো, আমি যেন তোমার এ অনুগ্রহের শোকর আদায় করতে থাকি যা তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি করেছ এবং এমন সৎকাজ করি যা তুমি পছন্দ করো এবং নিজ অনুগ্রহে আমাকে তোমার সৎকর্মশীল বান্দাদের দলভুক্ত করো। (নামল:১৭-১৯) জ্বীনেরা যে হজরত সুলাইমানের সেনাবাহিনীর অংশ ছিল এবং তিনি তাদের কাজে নিয়োগ করতেন, বাইবেল একথারও উল্লেখ নেই। কিন্তু তালমূদে ও রাব্বীদের বর্ণনায় এর বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। (জুয়িশ এনসাইক্লোপিডিয়া, ১১ খণ্ড, ৪৪০ পৃষ্ঠা) বর্তমান যুগের কোনো কোনো ব্যক্তি একথা প্রমাণ করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন যে, জ্বীন ও পাখি বলে আসলে জ্বীন ও পাখির কথা বুঝানো হয়নি বরং মানুষের কথা বুঝানো হয়েছে। মানুষরাই হজরত সুলাইমানের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত ছিল। তারা বলেন, জ্বীন মানে পার্বত্য উপজাতি। এদের উপর হজরত সুলাইমান বিজয় লাভ করেছিলেন। তার অধীনে তারা বিস্ময়কর শক্তি প্রয়োগের ও মেহনতের কাজ করত। আর পাখি মানে অশ্বারোহী সেনাবাহিনী। তারা পদাতিক বাহিনীর তুলনায় অনেক বেশি দ্রুততা সম্পন্ন ছিল। কিন্তু এটি কুরআন মজীদের শব্দের অযথা বিকৃত অর্থ করার নিকৃষ্টতম প্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়। কুরআন এখানে জ্বীন, মানুষ ও পাখি তিনটি আলাদা আলাদা প্রজাতির সেনাদলের কথা বর্ণনা করছে এবং তিনের ওপর (আলিফ লাম) বসানো হয়েছে তাদের পৃথক পৃথক প্রজাতিকে চিহ্নিত করার উদ্দেশে। তাই আল জ্বীন (জ্বীন জাতি) ও আত তাইর (পাখি জাত) কোনো ক্রমেই আল ইন্স (মানুষ জাতি)-এর অর্ন্তভূক্ত হতে পারে না। পিপড়াগুলো কীভাবে যোগাযোগ করল? কমিউনিটির মাধ্যমে পিঁপড়াগুলো ফারমোনস নামক রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। আধুনিক গবেষকরা এই বিষয়টিকেই সঠিক বলেছেন। পিঁপড়াগুলো এক ধরনের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কথা বলে। কুরআনের বৈজ্ঞানিক মর্মস্পর্শী : কুরআনের এক হাজার আয়াত আছে যেগুলো নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করেছেন। এই ক্ষেত্রে যেটা দেখা গেছে সেটা হচ্ছে কুরআন যা বলেছে যে বিষয়ে যা বলেছে সেগুলো আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে মিল রয়েছে। অবশ্য অনেক মনে করেন যে ধর্ম এবং বিজ্ঞান দুটি পৃথক বিষয়। একটির সাথে অপরটির কোনো মিল নেই। তাদের এই ধারণা সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা। তবে কুরআনের আয়াতগুলোকে বিজ্ঞানের আলোকে বিশ্বাস করলে হবে না। কুরআনের আয়াতকে বিশ্বাস করতে হবে সেগুলো যদি বিজ্ঞানের সাথে মিলে যায় তবে ভালো। কোনো কারণে সেগুলো বিজ্ঞানের সাথে না মিললেও কুরআনের আয়াতগুলোকে বিশ্বাস করতে হবে। নারীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক ভারত, সিরিয়া-আফগানের চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা! বলছে রিপোর্টনারী সুরক্ষার নিরিখে পৃথিবীতে সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ ভারত। এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট তুলে ধরেছে থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে আফগানিস্থান নারী সুরক্ষায় দ্বিতীয় ও সিরিয়া তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরই দেশ তথা বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সরকারকে নিয়েও তুমুল সমালোচনা দেখা দিয়েছে। নারীদের জন্য ভারত, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থানগুলোর অন্যতম। নতুন এই জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বের ৫০০ বিশেষজ্ঞ এই জরিপে অংশ নেন এবং তারা ভারতকে বিশ্বের প্রথম, সৌদি আরবকে পঞ্চম ও আমেরিকাকে ১০ম বিপজ্জনক স্থান বলে চিহ্নিত করেন। এই এই খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া। নারী ইস্যুতে থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন এই জরিপের আয়োজন করে। সোমবার প্রকাশিত এ জরিপে ভারত, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও সোমালিয়া রয়েছে তালিকার শীর্ষে। তবে আমেরিকাকে নারী ও মানবাধিকার ইস্যুতে সোচ্চার হতে দেখা গেলেও নারী সুরক্ষার জন্য কিন্তু বিপজ্জনক একটি দেশ। কপিরাইট ‘আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করব না’ : এরদোগানএকজন শক্তিধর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার মাধ্যমে তুরস্কের জনগণ তাদের দেশের গণতান্ত্রিক শাসনের নতুন যুগের সূচনা করেছে। তবে পশ্চিমা মিডিয়া একে দেশটির গণতন্ত্রের অন্ধকার যুগের সূচনা বলে মন্তব্য করছে। রবিবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে এরদোগান এখন বিশ্বের শক্তিধর নেতাদের প্রথম কাতারে এসে শামিল হয়েছেন। এই ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মতো প্রতাপশালী নেতারা। নির্বাচনে জয়ের পর আংকারায় নিজ দল ইসলামপন্থী জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) সদর দফতরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেয়া তার বিজয়ী ভাষণকে কেউ কেউ ভয়ের চোখে দেখছে। তিনি এ বিজয়কে দেশবাসীর প্রতি নিবেদন করে তুরস্কের দুশমনদের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে চূড়ান্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সঙ্কল্প ব্যক্ত করেছেন। এরদোগান বলেন, ‘আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারোর কাছে মাথা নত করব না’। হাজার হাজার সমর্থকের সমাবেশে তিনি আরো বলেন, ‘এ নির্বাচনে গনতন্ত্রের জয় হয়েছে এবং তুরস্ক বাকি বিশ্বের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।’ Copy post খিদে-তেষ্টায় শুকিয়ে মর! সাহারায় ফেলে দিয়ে আসা হল ১৩ হাজার আলজেরিয়ার উদ্বাস্তুদেরবৃদ্ধ-মহিলা-শিশু গিজগিজ করছে। রহস্যময় বিশাল মরু সাহারার মাঝখানে হঠাত্ আর্তনাদ। অনিশ্চিত বসতি। খাবার নেই, জল নেই। মৃত্যু ভয় প্রতি পদে। রাস্তার কুকুরদের যেমন স্থানীয় প্রশাসন ভাগাড় বা খালি মাঠে ছেড়ে আসে, তেমনই প্রায় ১৩ হাজার শরণার্থীকে এ ভাবেই সাহারা মরুভূমি মাঝখানে ছেড়ে দিল আলজেরিয়া। জল, খাবার ছাড়াই! কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে ১৩ হাজার শরণার্থীকে সাহারার বুকে ছেড়ে দিয়েছে আফ্রিকার ওই দেশটি। খাবারও নেই। সাহারার মাঝখানেই ওঁরা যাতে মরে যায়। না-খেতে পেয়ে, তেষ্টায়। ১৪ মাসের বেশি হয়ে গেল ওই শরণার্থীরা মরুভূমির মাঝখানে বাঁচার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ওই শরণার্থীদের মধ্যে কয়েকজন মহিলা গর্ভবতীও ছিলেন। শরণার্থীরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন মরুভূমিতে ৪৮ ডিগ্রি গরম। এই ১৪ মাস তাঁরা শুধুই বাঁচার তাগিদে ঘুরে বেরিয়েছেন মরুভূমিতে। অবশেষে রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরে আসায় অন্তত খাবার ও জল পৌঁছেছে। বহু শরণার্থী মারাও গিয়েছেন। জানেট কামারাকে যখন মরুভূমিতে ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন তিনি গর্ভবতী। তাঁর কথায়, ‘মহিলারা মরে পড়ে রয়েছে। কতজন তো হারিয়েই গেল মরুভূমিতে পথ হারিয়ে। আমাদের যখন ওরা এখানে ছেড়ে দিয়ে গেল, তখন টাকা ও মোবাইল ফোনও কেড়ে নিল।’ ‘আমার ছেলেটা মরে গেল।’ ভয়ার্ত মুখে কাঁপুনি। চোখে জল নেই। আপাতত রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্ধারকারী দল, মহিলা ও শিশু-সহ ১১ হাজার ২৭৬ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে। যখন উদ্ধার করেছে, অনেক মানুষ অখাদ্য-কুখাদ্য খেয়ে অসুস্থ। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা উঠছে। অগ্নি-তপ্ত বালিতে ইতিউতি পড়ে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, কিছু মানুষ খাবার ও জলের খোঁজে নাইজের পৌঁছয়। কিছু সোমালিয়া। আল্লাহ কেন তার পছন্দের বান্দাদের বেশি বেশি পরীক্ষায় ফেলেন?আমরা জানি আমরা যখন আল্লাহ কাছে কান্নাকাটি করে কিছু চাই সেটা আল্লাহপাক পছন্দ করেন। কিন্তু একই সমস্যার কথা আল্লাহর কাছে অনেক দিন বলার পরেও কেন তিনি বান্দার দোআ কবুল করেন না। আল্লাহ কি যাদেরকে ভালোবাসেন তাদের বেশি পরীক্ষার মাঝে ফেলন? আল্লাহ যাদেরকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন তাদেরকে তিনি বেশি বেশি পরীক্ষা করেন। আমরা যদি সকল নবীদের জীবনের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাবো তারাই ছিলেন আল্লাহর সব থেকে পছন্দে এবং তারাই সব সময় কষ্টের মাঝে (পরীক্ষার) ছিলেন। এমনকি তাদের জীবন ছিল সব থেকে বেশি কঠিন। প্রত্যেকটা মানুষের উচিত পরীক্ষার সময় আল্লাহর অবাধ্য কিছু না করা। আল্লাহর আদেশগুলো ভালো করে পালন করা। ধৈর্য ধারণ করা। তাহলে আল্লাহপাক অবশ্যই কষ্টগুলোকে দূর করে দেবেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, আর নিশ্চয়ই আমরা ভীতি, অনাহার, প্রাণ ও সম্পদের ক্ষতির মাধ্যমে এবং উপার্জন ও আমদানী হ্রাস করে তোমাদের পরীক্ষা করব। এ অবস্থায় যারা সবর করে। এবং যখনই কোনো বিপদ আসে বলে, আমরা আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর দিকে আমাদের ফিরে যেতে হবে। তাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে দাও। তাদের রবের পক্ষ থেকে তাদের ওপর বিপুল অনুগ্রহ বর্ষিত হবে, তার রহমত তাদেরকে ছায়াদান করবে এবং এই ধরনের লোকরাই হয় সত্যানুসারী। (বাকারা:১৫৫-১৫৭) আল্লাহপাক আসলে এই দুনিয়ার জীবনে একজন মানুষকে জান্নাতের উপযোগী করে তোলেন। তাই তিনি মানুষকে কিছু পরীক্ষা দেন। এবং যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় আল্লাহপাক তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন। তাই মানুষের উচিত বিপদে পড়লে আল্লাহপাকের সাহায্য চাওয়া। এবং তার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা। আল্লাহপাক মানুষকে তাদের ঈমানের স্তর অনুযায়ী করে পরীক্ষা করেন। একজন নবী বা একজন সাহাবী যে পরীক্ষা দিয়েছেন একজন সাধারণ মানুষের পরীক্ষা তেমন নয়। একজন নবীর স্তরও যেমন উপরে তাই তার পরীক্ষার বিষয়টিও অনেক কঠিন। যা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক আরো ইরশাদ করেছেন, কিন্তু মানুষের অবস্থা হচ্ছে এই যে, তার রব যখন তাকে পরীক্ষায় ফেলেন এবং তাকে সম্মান ও নিয়ামত দান করেন তখন সে বলে, আমার রব আমাকে সম্মানিত করেছেন। আবার যখন তিনি তাকে পরীক্ষায় ফেলেন এবং তার রিযিক তার জন্য সংকীর্ণ করে দেন তখন সে বলে, আমার রব আমাকে হেয় করেছেন। কখনোই নয়, বরং তোমরা এতিমের সাথে সম্মানজনক ব্যবহার কর না। (আল ফজর : ১৫-১৭) এই আয়াতে আসলে মানুষের বস্তুবাদী জীবন দর্শনকেই তুলে ধরা হয়েছে। এই দুনিয়ার ধন, সম্পদ, ক্ষমতা, কর্তৃত্বকেই সে সবকিছু মন করে। এগুলো পেলে সে আনন্দে উল্লাসিত হয় এবং বলে আল্লাহ আমাকে মর্যাদ দান করেছেন। আবার না পেলে বলে, আল্লাহ আমাকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করেছেন। অর্থাৎ ধন সম্পদ ও ক্ষমতা কর্তৃত্ব পাওয়া না পাওয়াই হচ্ছে তার কাছে মর্যাদা ও লাঞ্ছনার মানদ- বানিয়ে নিয়েছে। অথচ প্রকৃত ব্যাপারটিই সে বোঝে না। আল্লাহ দুনিয়ায় যাকেই যা কিছুই দিয়েছেন পরীক্ষার জন্যই দিয়েছেন। ধন ও শক্তি দিয়েছেন পরীক্ষা করার জন্য। এগুলো পেয়ে মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না অকৃতজ্ঞ হয়, তা তিনি দেখতে চান। দারিদ্র ও অভাব দিয়েছেন পরীক্ষা করার জন্য। ধৈর্য ও পরিতুষ্টি সহকারে মানুষ আল্লাহর ইচ্ছার ওপর সন্তুষ্ট থাকে এবং বৈধ সীমার মধ্যে অবস্থান করে নিজের সমস্যা ও সংকটের মোকবিলা করে, না সততা বিশ্বস্ততা ও নৈতিকতার সব বাঁধন ছিন্ন করে আল্লাহকেই গালমন্দ দিতে থাকে, তা আল্লাহ অবশ্যই দেখতে চান। সঙ্কটে পরার থেকে বিত্তবান হওয়া হচ্ছে বড় পরীক্ষা। আমরা আসলে মনে করি বিত্তবান হওয়া হচ্ছে আল্লাপাকের নিয়ামত। কিন্তু বিষয়টি এমন নয়। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপা ইরশাদ করেছেন, তারপর যখন তারা তাদের যে উপদেশ দেয়া হয়েছিল তা ভুলে গেলো তখন তাদের জন্য সমৃদ্ধির সকল দরজা খুলে দিলাম। শেষ পর্যন্ত তারা যখন তাদেরকে যা কিছু দান করা হয়েছিল তার মধ্যে নিমগ্ন হয়ে গেল তখন অকস্মাত তাদেরকে পাকড়াও করলাম এবং তখন অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছিল যে, তারা সব রকমের কল্যাণ থেকে নিরাশ হয়ে পড়েছিল। এ ভাবে যারা জুলুম করেছিল তাদের শিকড় কেটে দেয়া হলো। আর সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব প্রভু আল্লাহর জন্য (কারণ তিনিই তাদের শিকড় কেটে দিয়েছেন)। (আন আম : ৪৪-৪৫) আসলে মুমিনের জীবনের সব কিছুই বিস্ময়কর। সুতরাং মুমিন বান্দার কাছে যেই বিষয়টি ভালো লাগবে তার জন্য সে আল্লাহপাকের কাছে কৃজ্ঞতা প্রকাশ করবে আর যা কিছু তার পছন্দ হবে না অর্থাৎ তার মনে হবে এটা পরীক্ষা জন্য সেটার জন্য ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আল্লাহপাক সবাইকে তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার তাওফিক দান করুন। ঈমানি মৃত্যু লাভে যে দোয়া পড়বেনপৃথিবীর সব প্রাণীকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যুর মাধ্যমেই দুনিয়ার সব প্রাণীর অবসান হবে। মানুষ ও জ্বীন জাতিকে পরকালে আল্লাহর আদালতে উপস্থিত হতে হবে। দুনিয়ার প্রতিটি কাজের হিসাব প্রদান করতে হবে। মৃত্যুর সময় যে বা যারা ঈমানি কালেমা পাঠের মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করবে তাদের পরকালীন জীবন হবে সহজ ও সফল। প্রত্যেক ঈমানদার ব্যক্তি মহান আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা-গবেষণা করে। আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনে তাঁর বা তাঁকে নিয়ে চিন্তা-গবেষণার মাধ্যমে ইবাদত-বন্দেগি করার বিকল্প নেই। যারাই মহান আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করে, আল্লাহর সঙ্গে তাদের নিগুঢ় সম্পর্ক তৈরি হয়। আর বান্দা আল্লাহর একান্তি সান্নিধ্য লাভ করে। ফলে তাদের জন্য ঈমানি মৃত্যু লাভে সহায়ক হয়। মুমিন বান্দাকে যাতে জাহান্নামে যেতে না হয়, জাহান্নামের কঠিন আজাব থেকে মুক্তি পায়, হাশরের ময়দানে লাঞ্ছিত হতে না হয় এবং ঈমানি মৃত্যু লাভ করে সে জন্য আল্লাহ তাআলা কুরআনে তুলে ধরেছেনর একটি দোয়া। যা তুলে ধরা হলো- رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ – رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ – رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا ۚ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ উচ্চারণ : রাব্বানা মা খালাক্বতা হাজা বাত্বিলান, সুব্হানাকা ফাক্বিনা আজাবান নার। রাব্বানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন নারা ফাক্বাদ্ আখঝাইতাহু ওয়া মা লিজজালিমিনা মিন আংছার। রাব্বানা ইন্নানা সামিনা মুনাদিআই ইউনাদি লিল ঈমানি আন আমিনু বিরাব্বিকুম ফাআমান্না; রাব্বানা ফাগ্ফিরলানা জুনুবানা ওয়া কাফ্ফির আন্না সাইয়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মাআল আবরার।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৯১-১৯৩) অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি (সৃষ্টিজগত) অনর্থক সৃষ্টি করনি। পবিত্রতা তোমারই জন্য। আমাদেরকে তুমি জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচাও। হে প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি যাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ কর তাকে অপমানিত কর। আর যালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান আনার জন্য একজন আহ্বানকারীকে আহ্বান করতে শুনে ঈমান গ্রহণ করেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদের সব গোনাহ মাফ করে দাও। আমাদের সব দোষ-ত্রুটি দূর করে দাও। আর নেককার লোকদের সাথে আমাদের মৃত্যু দাও।’ পরিশেষে… মুমিন বান্দাদের মধ্যে যারা বসে, দাঁড়িয়ে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করে আর আল্লাহর কাছে উপরোল্লেখিত দোয়া করে। তাদের জন্য মৃত্যুকালীণ সময়ে ঈমান লাভ করা সহজ হয়ে যাবে। এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় এ আয়াতগুলোসহ সুরা আল-ইমরানের শেষ আয়াত পর্যন্ত তেলাওয়াত করতেন। যা পড়া প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতও বটে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত দোয়া পাঠের মাধ্যমে মৃত্যুর সময় ঈমান লাভ করার তাওফিক দান করুন। প্রিয়নবির আমলে নিজেদের জীবনকে আলোকিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এরদোগান সমর্থকদের উল্লাস শুরু হয়েছেতুরস্কের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সাফল্যের পর রোববার রাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাসহ তুর্কি প্রবাসীরা রাস্তায় নেমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এসময় তারা একে পার্টি ও তুরস্কের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে নেচে-গেয়ে বিজয় উদযাপন করেন। রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৫২ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন এরদোগান। এদিন একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পার্লামেন্ট নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এরদোগানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট পিপলস অ্যালায়েন্স। বেলজিয়াম : বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের তুর্কি-অধ্যুষিত অঞ্চলের সড়কগুলোতে প্রবাসীরা এরদোগানের সাফল্য উদযাপন করেন। আন্তর্জাতিক ডেমোক্রেটস ইউনিয়নের সদস্যরাও এই উদযাপনে অংশগ্রহণ করেন। জার্মানি : জার্মানিতে তুর্কি নাগরিকরাও বিপুল উৎসাহ নিয়ে রাজধানী বার্লিনের ব্যস্ততম রাস্তায় জড়ো হয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছেন।এসময় তারা ‘রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান তুরস্কের সেরা’ বলে স্লোগান দেন। এছাড়াও কোলন শহরের কাছাকাছি কারপেন শহরেও একে পার্টির সমর্থকরা একত্রিত হয়ে বিজয় উদযাপন করেন। অস্ট্রিয়া : তুর্কি নাগরিকরাও অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়ও এরদোগানের বিজয় উদযাপন করেছেন। ভিয়েনার একটি কনফারেন্স হলে একত্রিত হয়ে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যক্ষ করেন তারা। এসময় তারা তুর্কি পতাকা উড়াতে থাকেন এবং গান গেয়ে এরদোগান ও তার দলের বিজয় উদযাপন করেন। সুইডেন : সুইডেনের একে পার্টির সমর্থকরা স্টকহোমে তুর্কি দূতাবাসের নির্বাচন সমন্বয় কেন্দ্রে একত্রিত হন। তারা তুরস্ক, একে পার্টি এবং জাতীয়তাবাদী মুভমেন্ট পার্টির (এমএইচপি) পতাকা হাতে নিয়ে দূতাবাস ভবনের সামনে একত্রিত হয়ে এরদোগানের বিজয়কে উদযাপন করেন। যুক্তরাজ্য : বেসরকারিভাবে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সাফল্যের ফলাফল ঘোষণার পর প্রায় দুই শতাধিক তুর্কি নাগরিক লন্ডনের রাস্তায় নেমে উদযাপন করেন।লন্ডনের হাইড পার্কে জড়ো হয়ে সমর্থকরা এরদোগান ও তার একে পার্টির সমর্থনে স্লোগান দেন। আজারবাইজান: আজারবাইজানের বাকুতে তুর্কি দূতাবাসের সামনে প্রবাসীরা একত্রিত বিজয় উদযাপন করেন। এসময় তারা তুর্কি জাতীয় সংগীত গেয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। বসনিয়া ও হারজেগোভিনা : বসনিয়া হার্জেগোভিনার রাজধানী সারয়েভোর রাস্তায় এরদোগানের নির্বাচনের সাফল্য উত্সাহের সঙ্গে উদযাপন করা হয়। সারায়েভোতে বসবাসরত তুর্কি নাগরিকদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক বসনিয়ান, ফিলিস্তিনি ও ঘানার নাগরিকরাও এই উদযাপনে যোগ দেন। তারা তুর্কি ও বসনিয়ান পতাকা হাতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পাকিস্তান : তুর্কি ও পাকিস্তানিরা রাজধানী ইসলামাবাদের জি-৬ সেক্টরে জড়ো হয়ে এই সাফল্য উদযাপন করেন। তারা তুর্কি ও পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে ফয়সাল মসজিদের সামনে মিলিত হন। এছাড়াও সুদান, মেসিযোনিয়া, কসোভো, আলবেনিয়া, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, কাতার, লেবাননেও বিপুল উৎসাহ নিয়ে তুর্কি নাগরিকরা এই বিজয় উদযাপন করেন। শীর্ষ নিউজ নগ্ন হয়ে গোসল ও অজু করা যাবে? জেনে নিন অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথাএকজন জানতে চেয়েছেন, একবারে নগ্ন হয়ে (যেখানে কোনো মানুষ এর নজর পরে না) গোসল করা কি জায়েজ আছে ? স্বামী- স্ত্রী কি একসাথে নগ্ন হয়ে গোসল করতে পারবে ? ১. উলঙ্গ হয়ে গোসল করা জায়েয আছে , কিন্তু সুন্নত পরিপন্থী। মোস্তাহাব ও উত্তম হল লুঙ্গি ইত্যাদি বেঁধে গোসল করা। কেননা আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত আছে—রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, মহান আল্লাহ লজ্জাশীল ও পর্দাকারীদের পছন্দ করেন। তাই তোমাদের কেউ যখন গোসল করে তখন সে যেন পর্দা করে নেয়।(তাহতাবী) ২. গোসলখানায় যদি কোনো পর্দাহীনতা না হয় তাহলে উলঙ্গ হয়ে গোসল করা জায়েয আছে। (মাহমুদিয়া ৪/৩৮৭) (এমনিভাবে পর্দার ক্রটি না হলে খোলাস্থানেও উলঙ্গ হয়ে গোসল করা জায়েয আছে এবং গোসলের অযুতে নামায জায়েয) ৩. গোসলখানা বা বাথরুমে লাইটিং এর ব্যবস্থা না থাকলে বাতি বা বিদ্যুৎ দ্বারা আলোর ব্যবস্থা করে নিবে। (মাহমুদিয়া ১০ খন্ড, পৃঃ২০২) ৪. পর্দার মধ্যে কাপড় খোলে গোসল করা জায়েয আছে, এমনিভাবে খোলা মাঠে পুরুষের নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত কাপড় বেঁধে বাকী অংশ খোলা রেখে গোসল করা জায়েয আছে। তাঁর নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত (যা পুরুষের সতর) কারো সামনে খোলা হারাম। (আপকে মাসায়েলঃ দ্বিতীয় খন্ড, পৃঃ৮১) ৫. পেন্টি জাঙ্গিয়া পরে গোসল করলে যদি কাপড়ের নিচে পানি পৌঁছে যায় এবং শরীরের ঢাকা অংশও ধোয়ে ফেলা যায়, তাহলে গোসল ছহীহ হবে। (আপকে মাসায়েল ২য় খন্ডঃ পৃঃ ৮১) ৬. এটাষ্ট বাথরুমে গোসল করা ছহীহ, যদি তা পবিত্র থাকে এবং নাপাকির ছিটা না আসে। যদি তা সন্দেহের হয় তবে প্রথমে পানি ঢেলে পাক করে নিবে পরে গোসল করবে। (আপকে মাসায়েলঃ ২য় খন্ড, পৃঃ৫৩) ৭. বসে ও দাঁড়িয়ে উভয় অবস্থায় গোসল করা জায়েয আছে, পর্দার প্রতিলক্ষ করে বসে গোসল করা উত্তম। (ইমদাদুল ফাতায়াঃ খন্ড ১, পৃঃ৩৬) ৮. পুরুষের গোসল ওয়াজিব হয়েছে, পর্দার কোনো ব্যবস্থাও নেই অনেক পুরুষের সামনে করতে হবে। এমনিভাবে কোনো মহিলারও এমন অবস্থা হয়েছে এবং শুধু মহিলাদের সামনে গোসল করতে হবে। তাহলে গোসল করতে পারে। (ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুমঃ প্রথম খন্ড, পৃঃ ১৬৯) ৯. উলঙ্গ হয়ে গোসল করা অবস্থায় কিবলার দিকে মুখ পিঠ করা মাকরূহ-তানযীহী বরং উত্তর দক্ষিণ দিক হওয়াই উচিৎ। (অগলাতুল আওযামঃ২৯) আর যদি সতর ঢেকে গোসল করা হয়, তাহলে যে কোনো দিকে মুখ পিঠ করা যাবে। (আপকে মাসায়েলঃ পৃঃ২৫৪) |
AuthorWrite something about yourself. No need to be fancy, just an overview. Archives
September 2018
Categories |